***আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ***

লালমনিরহাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন সুজন!!!

ছবিঃ কামরুজ্জামান সুজন। 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডি-ইনফোঃ লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচনে কামরুজ্জামান সুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। সব শ্রেনীর পেশার মানুষের মন জয় করায় কামরুজ্জামান সুজনের বিপক্ষে প্রার্থী হতে সাহস পাচ্ছে না কেউ। দল এবং মতের উর্দ্ধে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সুজন দিন রাত একাই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, বিরামহীন সাধারন মানুষের কাছে ছুটে যাওয়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলায় একক প্রার্থী কামরুজ্জামান সুজন। 

৬ষ্ঠ তম উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় কামরুজ্জামান সুজনের ধারে কাছে কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে, সুজনের বিপক্ষে ভোটে লড়াই করার প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, মাঠ পর্যায়ে আাকাশ চুম্বি জনপ্রিয়তা থাকায় অন্যরা সাহস পাচ্ছেনা ভোট যুদ্ধে নামতে, শেষ মুহুর্ত্যে  অন্য কেউ প্রার্থী হলেও সুবিধা করতে পারবে না বলে মনে করেন সাধারন ভোটার গন। ইতিমধ্যে সাধারন ভোটার সুজনের জন্য মুখ খুলতে শুরু করেছে।
          
লালমনিরহাট সদর উপজেলার নির্বাচন আগামী ২৯শে মে অনুষ্ঠিত হবে,মোট ভোটারের সংখ্যা ০২ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৪ জন। লালমনরহাট সদর উপজেলা সহ ১১২টি উপজেলার নির্বাচনী তফশীল ইতিমধ্যে  নির্বাচন কমিশন ঘোষনা করেছে। আগামী ০২রা মে মনোনয়ন পত্র  সংগ্রহ করার শেষ দিন,০৫ মে মনোনয়ন জমা প্রদান, ০৬ মে থেকে ০৮ মে আপলি গ্রহন এবং ১১ মে আপিল নিস্পত্তির শেষ দিন,১২ই মে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন,১৩ই মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে,২৯মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার নির্বাচন দ্বার গোড়ায় কড়া নাড়লেও বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যাতীত দৃশ্যমান প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। ভোটের মাঠে নেই কোন উত্তাপ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও চেয়ারম্যান পদে নেই উল্লেখ যোগ্য কোন প্রার্থী। দিন রাত চষে বেড়াচ্ছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজনসুজন সদর উপজেলার মানুষের মাঝে এতটাই জনপ্রিয় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে বিজয় অর্জন সহজ নয় ভেবেই  প্রার্থী হবার সাহস পাচ্ছেনা কেউ। সম্ভবনা রয়েছে সারাদেশে একমাত্র  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী   উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে রেকর্ড করতে পারেন কামরুজ্জামান সুজন

বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ২০১৮ সালের ১০ই মার্চ নির্বাচিত হবার পর থেকে দিন রাত মানুষের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন। ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, খরা, করোনা, কোন কিছু আটকাতে পারেনি তরুন এই জনপ্রতিনিধিকে। নির্বাচিত হবার পর একটি মুহুর্ত্য নষ্ট করতে চাননি, যখন যেখানে যে অবস্থায় মানুষ স্মরন করেছে সুজনকে, তখনই  তাদের কাছে ছুটে গিয়েছেন, ব্যাক্তি জীবনে নিরহংকারী এবং সদালপী মানুষটি খুব সহজেই মানুষকে আপন করে বুকে টেনে নেওয়ায় সদর উপজেলার মানুষ আপন করে নিয়েছেন সুজন কে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে নামলেও নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলাকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে।শপথ নিয়ে চেয়ারে বসেই প্রথম দিন ঘোষনা দেন সাধারন মানুষের জন্য সদর  উপজেলা পরিষদ উন্মুক্ত, উপজেলা কার্যালয়ে কোন ফাইলে এক টাকা ঘুষ লেনদেন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী উচ্চারন করেন। ফলে সাধারন মানুষ উপজেলা পরিষদে  তাদের কাঙ্খিত সেবা বিনা পয়সায় পাওয়ায় দারুন খুশী। বর্তমান চেয়ারম্যান সুজনের মেয়াদ কালে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, টিসিবি কার্ডের তালিকা শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে প্রনয়ন করেন, এসব কার্ড প্রনয়নে জনপ্রতি ৫/১০ হাজার টাকা লেনদেন হতো, তা থেকে সাধারন মানুষ নিস্কৃতি পাওয়ায় দারুন ভাবে প্রশংসিত হয়।প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে বয়স,আর্থিক স্বচ্ছলতা,কর্ম ক্ষমতা যাচাই করে কাজটি সম্পন্ন করেন।দ্বায়িত্ব নেবার এক বছর বাদেই অতিমারী কোভিডের কবলে পড়ে দেশ, কোভিড কালীন সময়ে করোনা আক্রান্ত পিতার কাছে সন্তান যখন মৃত্যুর ভয়ে যায়নি,ঠিক সে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি করোনা আক্রান্ত রোগীর কাছে খাবার পৌছে দিয়েছেন, মৃতদেহ শ্মশানে পড়ে ছিল সৎকার করার মত কেউ ছিলনা,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশ, খরি, কাপড় সংগ্রহ করে নিজেই দাহ করে আলোচিত হন, তিস্তা ও ধরলা নদীর বন্যায় প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ যখন পানি বন্দি হয়ে পড়ে, মানবিক চেয়ারম্যান সুজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মধ্য রাত অবধি ডিঙ্গি নৌকায় খাবার পৌছে দিয়েছেন দুর্গম চরাঞ্চলে,এসব কারনে মানুষের মাঝে দাগ কাটে।

কোন কাজের বিনিময়ে এক কাপ চা কেউ যেন খাওয়াতে না পারে,সেই ব্রত অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গিয়ে তার দ্বায়িত্বকালীন পাঁচ বছর সময়ে কোন অনুষ্ঠানে এক গ্লাস পানি পান না করায় আলোড়ন তুলেছেন চেয়ারম্যান সুজন।বিগত পাঁচবছরে সভা,সমাবেশ,ইসলামি জলসা, নামযজ্ঞ,কীর্তন, দর্গাপুজায় সর্বোচ্চ অংশগ্রহন কারী জেলার একমাত্র জনপ্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান সুজন। তথ্য অনুযায়ী পাঁচবছরে এক হাজার ওয়াজ মাহফিল, ২০০টি নামযজ্ঞ কীর্তন

১২০০ জানাযা নামায, অসংখ্য মন্দির পরিদর্শন  করেছেন সুজন।দিন রাত মানুষের কাছে ছুটে যাওয়ায়,জনগনের জন্য নিবেদিত ভাবে কাজ করায়,তাকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে বলে মনে করেন সাধারন ভোটাররা।

সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল চর খারুয়ার সাধারন ভোটার ষাটোর্ধ নজরুল ইসলাম জানান,উপজেলা চেয়ারম্যান সুজন বাবাজি আমাদের কাছে সে চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, আমাদের সন্তান হিসেবে আমরা তাকে চিনি,আমরা যখন তাকে ডাক দিয়েছি তখনই তাকে পেয়েছি, উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে যতবার খারুয়ায় এসেছে আমাদের নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ততবার আসেননি, তাই আগামী নির্বাচনে খারুয়ার সব ভোট সুজন পাবে।

কুলাঘাট ইউনিয়নের চরখাটামারি এলাকার সাধারন ভোটার আক্কাছ আলী বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের মত চেয়ারম্যান আমি ইতিপুর্বে দেখিনাই, তার হস্তক্ষেপে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, টিসিবি কার্ড করতে কোন টাকা লাগেনি, এসব কার্ড করতে ৫/১০হাজার টাকা দিতে হতো আগে, এতেই সাধারন মানুষ তার প্রতি কৃতজ্ঞ, তাকে যখনই ফোন করেছি কোন প্রয়োজনে সেটা রাত বারোটা হলেও সে ফোন ধরে কথা বলতো। তার মত লোক বারবার চেয়ারম্যান হোক এটা আমরা চাই।

সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজনের মুখোমুখি হলে তিনি জানান, আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন,সারা জীবন নির্মোহ দেশের জন্য এবং  দেশের মানুষের জন্য কাজ করে  গিয়েছেন। বাবার আদর্শ অনুসরন করে আমি রাজনিতীতে এসেছি,নির্বাচিত হবার পর থেকে আমি শপথ নিয়েছি অসৎ পয়সা যেন আমাকে ছুঁতে না পারে,জনগনের অর্পিত দ্বায়িত্ব আমানত মনে করে সবসময় এর মান রক্ষা করার চেষ্টা করেছি,উপজেলা পরিষদ থেকে জনগনের জন্য কাজ করার জায়গা খুবই সীমিত, আমি মানুষকে কিছু দিতে না পারলেও তাদের ডাকে সারা দিয়ে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি, আপনারা সবাই দেখেছেন করোনা কালে মৃত্যু ঝুঁকি থাকা স্বত্বেও রাত দিন ছুটে বেড়িয়েছি, করোনা রোগীর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মানসিক শক্তি যুগিয়েছি, মৃতদেহ আপনজন ফেলে রেখে চলে গেলেও আমি কিন্তু সৎকার করে বাড়ি ফিরেছি।আমাদের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা ভঙ্গুর, হাসপাতালে মানুষ বিপদে পড়ে আসে, দুঃখের বিষয় কাঙ্খিত সেবা সেখানে মানুষ পায়না, আমি সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে সপ্তাহে তিনদিন হাসপাতালে যাই অন্তত আমার কারনে হলেও যাতে সেবাটা পায়।আমার দ্বায়িত্বকালে কেউ বলতে পারবেনা কাজের বিনিময়ে এক কাপ চা আমাকে কেউ খাওয়াতে পেরেছে। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের নেতা অ্যাডঃ মতিয়ার রহমানের নির্দেশ মোতাবেক আমি মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি,তিনি আমার উপর আস্থা রেখে সুযোগ করে দিয়েছেন বিধায় আমি কাজ করতে পেরেছি।আমার দ্বায়িত্বকালে কোন কাজ, কর্মে, কথায়,আঘাত পেয়ে থাকলে সন্তান মনে করে ক্ষমা করে দেবার অনুরোধ জানাই, সেই সাথে আগামী ২৯মে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে পুনারায় নির্বাচিত করার অনুরোধ জানাই।

নির্বাচনের তফশীল ঘোষনা হলেও এখন পর্যন্ত বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ব্যাতীত কারো নাম মাঠে শোনা যাচ্ছে না।বিপুল জনপ্রিয় সুজনের বিপক্ষে প্রার্থীতার দৌড়ে কেউ নাম লেখাতে চাচ্ছেন না, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিএনপির রাজনৈতিক  সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচন বর্জন করবে তারা, লালমনিরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে তার সমর্থন ব্যাক্ত করেছেন কামরুজ্জামান সুজনের প্রতি। দলের মধ্যে সুজন ব্যাতীত প্রার্থী হবার সুযোগ কারো না থাকায় একক প্রার্থী থাকছেন সুজন, আপাতত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় দেশের একমাত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন কামরুজ্জামান সুজন

Post a Comment

Previous Post Next Post