***আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ***

ভুয়া বিল ভাউচারে লালমনিরহাট সিভিল সার্জনের ১ মাসের গাড়ি মেরামত বিল ১ লক্ষ ১৮!!!

ছবিঃ নির্মলেন্দু রায় সিভিল সার্জন লালমনিরহাট।

বিডি-ইনফো নিউজ ডেস্কঃ 
দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম এবং দূর্নীতির মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মেলন্দু রায়ের দূর্নীতি যেন আকাশ ছুই পর্যায়ে পৌঁছেছে। লালমনিরহাটে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা আত্মসাতের মহা উৎসবে মেতেছেন তিনি। ২০২২ সালের জুন মাসে গাড়ি মেরামতের নামে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে ১ লক্ষ ৯ শত ৮০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়ের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ২০২২ সালের জুন মাসে ৫ টি বিলে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৯ শত ৯০ টাকা সরকারি একাউন্ট থেকে তুলে নিয়েছেন।
যার বিবরণ তুলে ধরা হলো-১৪ জুন ২০২২ সাল ২৪ হাজার ৯ শত ৮০ টাকা, ১৪ জুন ২০২২ সাল ১৯ হাজার ১ শত টাকা, ১৪ জুন ২০২২ সাল ২৪ হাজার ৯ শত ৮০ টাকা, ২১ জুন ২০২২ সাল ২৬ হাজার ৮ শত ৫০ টাকা ও ২১ জুন ২০২২ সাল ২৩ হাজার ৮৩ টাকা।

এ ছাড়াও জানুয়ারি, মার্চ ও সেপ্টেম্বর মাসে কয়েকটি ভাউচারে ৮৫ হাজার ১০ টাকা গাড়ি মেরামতের নামে খরচ দেখিয়েছেন নির্মলেন্দু রায়।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মকর্তা গাড়ি মেরামত বিল ৩০ হাজার টাকার বেশি খরচ করার ক্ষমতা রাখেন না কিন্তু লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মেলন্দু রায় কোটেশন না দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আরও জানা যায় যে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কমিনিউনিটি ক্লিনিকের সকল (সিএইচসিপি)রা তাদের মন মত যখন খুশি অফিসে আসে এবং তাদের ইচ্ছামত ক্লিনিক বন্ধ করে চলে যায়। এ বিষয়ে একাধিক বার উপজেলা সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দীওংকর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। 

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন নির্মেলন্দু রায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আপনাদেরকে আমি কোন জবাব দিতে পারব না। আপনারা যা লেখার লিখতে পারেন। আমার কিছুই করতে পারবেন না।

Post a Comment

Previous Post Next Post