***আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ***

গত শনিবার রাতে যে আলো দেখা গেছে তা ছিল চন্দ্রযান ২ এর চাঁদে অবতরন করার সময় এরুপ ঘটে।


চাঁদে অবতরণ করার আগ দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভারতের চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডারের খোঁজ মিলেছে চাঁদের পৃষ্ঠেই। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশনের (ইসরো) প্রধান কে শিভান রোববার স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার খুঁজে পাওয়ার কথা জানান।

চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ আগে শনিবার মধ্যরাতে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছ্ন্ন হয়ে গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে ইসরোর সদর দপ্তরে তখন উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে গড়বড় হয়ে যাওয়ায় ব্যর্থ মনোরথে সেদিন তাকে দিল্লি ফিরে যেতে হয়েছিল।

ইসরো প্রধানের মন্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা  এএনআই জানিয়েছে, “আমরা চাঁদের পৃষ্ঠে বিক্রম ল্যান্ডারের অবস্থান খুঁজে পেয়েছি, ল্যান্ডারের একটি থার্মাল ইমেজ সংগ্রহ করেছে অরবিটার। তবে এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি। খুব দ্রুতই যোগাযোগ করা যাবে”।

শনিবার ভোররাতে চাঁদে দক্ষিণ মেরুতে ধীরে অবতরণের (সফট ল্যান্ডিং) কথা ছিল চন্দ্রযান-২ এর। চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকাবস্থায় এর সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

১,০০০ কোটি টাকার এই চন্দ্রযান-২ এর সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গেই ইতিহাস রচনার দিকে তাকিয়ে ছিল ভারত। চাঁদের পৃষ্ঠে ধীরে ধীরে অবতরণ করলেই, আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরেই স্থান হতো ভারতের। পাশাপাশি প্রথমবারেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণের রেকর্ডও দখলে আসত ভারতের।

এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেটে চেপে ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রযান-২। একটি ইসরোর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দীর্ঘ রকেট। প্রথমে ১৫ জুলাই সেটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল, তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে, সেদিন উৎক্ষেপণের নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টারও কম সময়ের ব্যবধানে তা বাতিল হয়েছিল

চন্দ্রযান-২: ল্যান্ডারের অবস্থান জানতে পেরেছে ইসরো
 সংগৃহিত) নিউজ ডেস্ক  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের পিঠে যেখানে পড়েছে, সেই জায়গাটি সনাক্ত করার কথা জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)।

চন্দ্রযান-২: শেষ মুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিভান রোববার বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, চাঁদ ঘিরে ঘুরতে থাকা চন্দ্রযানের অরবিটার হারিয়ে যাওয়া বিক্রমের একটি থার্মাল ইমেজও পাঠিয়েছে।

দীর্ঘ ৪৭ দিনের যাত্রা শেষে শনিবার প্রথম প্রহরে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা ছিল চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের।

কথা ছিল, ঠিকঠাক পৌঁছাতে পারলে চন্দ্রযান-২ এর রোভার প্রজ্ঞান নতুন তথ্য পাঠাবে পৃথিবীতে। সেখান থেকে হয়ত জানা যাবে, চাঁদের বুকে কতটা পানি কী অবস্থায় আছে।

কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে থমকে যায় ভারতের স্বপ্ন, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকতে বিক্রমের সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

কে শিভান বলেন, অর্বিটারের পাঠানো ছবি থেকে তারা অবস্থান জানতে পারলেও বিক্রমের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করতে পারেননি।

“ওই অবস্থায় নিশ্চয় চাঁদের ওপর আছড়ে পড়েছে বিক্রম।… আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যোগাযোগ আবার চালু করার।”

বিক্রম কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এ পর্যায়ে বলা কঠিন বলে মন্তব্য করেন ইসরো চেয়ারম্যান।

চাঁদের ওই অংশটি এখনও মানুষের কাছে অজানা। সেখানে জমাট বরফ আকারে পানি থাকার বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছিলেন ভারতের চন্দ্রযান-১ অভিযান থেকে।

চাঁদে নিয়ন্ত্রিত অবতরণের মিশন সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম লেখাতে পারত ভারত। প্রজ্ঞান ঠিকমত কাজ করলে ভারত হত চন্দ্রপৃষ্ঠে রোভার চালাতে সফল হওয়া তৃতীয় দেশ। আর ভারত হত চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে নিয়ন্ত্রিত অবতরণে সক্ষম হওয়া প্রথম দেশ।

সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ইসরো চেয়ারম্যান শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিশনের শেষ পর্যায়ের কাজগুলো যেভাবে করা উচিৎ ছিল, তা ঠিকঠাকভাবে হয়নি। ওই সময়ই ল্যান্ডার থেকে সংকেত আসা বন্ধ হয়ে যায়।

এ যাত্রায় সফল হতে না পারলেও ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীদের নতুন অভিযানের উৎসাহ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

তিনি বলেছেন, “আমরা পিছিয়ে পড়িনি… চাঁদে পৌঁছনোর জন্য আমাদের ইচ্ছাশক্তি আরও প্রবল হল, সংকল্প আরও দৃঢ় হল।”

চন্দ্রযান-২ এর তিনটি অংশের মধ্যে অর্বিটার এখন চাঁদকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। আগামী সাত বছর অর্বিটারের মাধ্যমে চাঁদের তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post