***আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ***

ধরলা নদীর বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন!


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াবদা বাজারে ধরলা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

সোমবার  (১৮ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে  ১২টা পর্যন্ত লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর শিবেরকুটি মৌজার রেকর্ডভূক্ত সম্পত্তি খাস খতিয়ান দেখিয়ে বালু উত্তোলন করায়, ফসলি জমি ক্ষতি সাধন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বন্যার আশংকা, পরিবেশ বিপর্যয়, নদী রক্ষাবাঁধ হুমকিতে পরার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র এর দাপটে   প্রায় ১ মাস ধরে সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবের কুটি এলাকার ওয়াপদা বাঁধ সংলগ্ন  নদী চর হওয়ার সুবাদে প্রায় ৮০-১০০ টা ট্রাক ব্যবহার করে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছেন ভূমি দস্যুরা। এ ছাড়াও পাশ্ববর্তী এলাকার মসজিদ, কয়েক শত একর ফসলি জমি শেখ হাসিনা ধরলা সেতু, কুলাঘাট বাজার, বসত বাড়ি ও কয়েকটি স্কুল মাদ্রাসা  হুমকির মুখে পড়েছে  বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বালু উত্তোলন করার ফলে আবাদি জমি হুমকির মধ‍্যে রয়েছে। অব্যাহত নদী ভাঙনে ঘরবাড়িসহ কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে এলাকার অসংখ্য বাড়িঘর।

এলাকাবাসী ছাত্তার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বতর্মান যেভাবে নদী থেকে  বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, এভাবে যদি বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে আমার বসতবাড়ি থাকবে না।

মফিজ উদ্দিন বলেন, আমার জমি নষ্ট হচ্ছে।এভাবে বালু তুললে আমার জমি নদীতে চলে যাবে। আমরা ইতিপূর্ব্যে কয়েকবার জেলা প্রশাসক মহোদয়, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চেয়ারম্যান কে বিষয় টা জানিয়েছি তারা কোনো ব‍্যবস্থা নেননি।

এলাকা বাসি আরও জানান, বালু উত্তোলনের কারনে ফসলি জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে, নদী রক্ষা বাঁধ হুমকীতে পড়েছে,পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে, ২০১৭ সালের মত বাঁধ ছিড়ে শহড় প্লাবিত হবার নতুন আশংকা দেখা দিতে পারে, অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে কাফনের কাপড় পড়ে আন্দোলনের হুমকি দেন চর শিবের কুটি গ্রামের মানুষ। যেখানে ৩ ফিট মাটি উত্তোলন করার কথা অথচ সেখান থেকে প্রায় ১২ ফিটের মত মাটি উত্তোলন করা হয়েছে।

এতে পরবর্তীতে ওই এলাকার অনেক বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সচেতন সমাজের মানুষ ধারণা করছেন। এখন ওই এলাকাবাসীর জোরালো দাবি যাতে ২৪ ঘন্টার মধ‍্যে এই বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নতুবা আমরা এই আন্দোলন  আরও বৃহত্তর করতে বাধ্য হবো।

Post a Comment

Previous Post Next Post